Header

Wellcome to my Trending News! Website. Thank you

We need a content writer for this website Details more.........

ভারতের সাথে দ্বন্দ্ব, যুদ্ধে কার স্বার্থজড়িত? বাংলাদেশের নাকি কারো স্বার্থান্বেষী

 


ছবি: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত 



১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই আওয়ামী মুসলিম লীগের সাথে ভারতের দুরত্ব।  মুসলিম লীগকে ভেঙ্গে দেওয়াই ছিলো ভারতের মূল লক্ষ্য।  সেখানে পশ্চিম  পাকিস্তানের ভাবনা ছিলো পূর্ব পাকিস্তান ভারতের পক্ষপাতীত্ব করবে। ভারত তাদের সীমানার স্বার্থে ভারত পূর্ব পাকিস্তানের সমর্থন দিয়ে যাবে। ১৯৫৬ সালে সেটা আরো পরিষ্কার হয় পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে। শুরু হয় পাকিস্তানের বৈষম্য,  ভারতের পুরো সমর্থনে ভাঙ্গালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়।  মাওলানা ভাসানী ভারতের সেই কৌশলের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানান। যাইহোক সকলের কাছে এটা পরিষ্কার ছিলো যে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের সাথে চরম বৈষম্য করছেন সেটা ভাঙ্গালির কাছে ছিলো পরিষ্কার।  পাকিস্তান ভাঙ্গালিদের উপর শুরু করে ছাটাই, তাদের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা বাঙালিকে করে আলাদা, করে নানান অবহেলা।  বাঙালি তো আর সেটা সইতে পারে নাই। তারা যখন দেখেছে তাদের কাছে আর কোনো পথ নাই। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো তারা জামায়েত ইসলামকে কাছে নেওয়া। পাকিস্তান ভাবছে জামায়েত ইসলাম ভারতের বড় ইসলামি জনগোষ্ঠীর সমর্থন নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু সেটা নয়।  মাওলানা ভাসানী একটা কথা বলেছিলো যে জামায়েত ইসলাম মানে ইসলাম নয় এটা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ভারত সমর্থন দিয়েছে ভেবেছিল তারা একটা ভুমি পাবে। বাংলাদেশ হয়ত এদেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে না। ১৯৭১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকালে  প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে পারে কি না?

জবাবে মিস গান্ধী বলেন, "আমি আশা করি ভারত সেটা করবে না। আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে একই সাথে আমরা আমাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না।"

ইন্দিরা গান্ধী বেশ জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান আর আগের মতো হবে না। তিনি একই সাথে সতর্ক করে বলেন, প্রতিবেশী দেশে যা ঘটছে সে ব্যাপারে ভারত চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না

এমন কথা বললেও তারা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। 

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রশিক্ষণ সবটাই করেছিলো ভারতে।

জেনারেল জ্যাক জেকব। তাঁর রণকৌশলে মাত্র ১৩দিনে পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তান।

১৯৭১ সালের ৩ রা ডিসেম্বরে ভারত-বাংদেশ একযোগে যুদ্ধবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। বাংলাদেশর অস্থায়ী সরকার তাজউদ্দীন আহমদও তাকে সমর্থন জানায়।তিনি বলেন আমরা এক- আমরা শত্রুদের মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ।  

তখন পুরোটা ছিলো ভারতের উস্কানি এবং তাদের সম্পূর্ণ সহোযোগিতা। 

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বাকযুদ্ধ স্বার্থ কার:-

১৯৭১ সালের স্বার্থ ছিলো ভারতের, আসলে কী তাই যদি তাও হয় তবে এখন ভারতের বিরোধীতা এখানে স্বার্থ কার। আমরা কি যুদ্ধ করতে প্রস্তুত নাকি কারো পাতানো ফাদে পা দিচ্ছি।  কার লাভ?
বাংলাদেশকে ভারত পাকিস্তানের মতোই জিম্মি করে রাখছে। ভারতের আধিপত্য বাংলাদেশের মুসলিমরা এত বছর সহ্য করলেও ৫ই আগস্টের পরে সেটার উত্থান ঘটেছে বেশ। যদিও এটাকে অনেকে ষড়যন্ত্র বলেন। আসলে কি তাই? শেখ হাসিনা পালানোর পর বাংলাদেশকে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে খুনি হাসিনা চাইছে দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করতে চায় বাংলাদেশে মুসলিমদের উত্থান হয়েছে।। ভারতীয় মিডিয়াও সেই প্রেসক্রিপশনে প্রচার করছে। এতে বাংলাদেশের মানুষ আরো খুদ্ধ হয়। এখন বিএনপিও 

ভারতের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে প্রেস রিলিজ করেছেন সেখানে বেশ হুমকি দিয়ে ভারতীয় মিডিয়া ও RAW এর এজেন্টকে হুশিয়ারি করে। এতে ভারতের নজরে আসে বাংলাদেশ ইস্যু এবং সীমান্তে জোরদার করে। তাহলে ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে বাংলাদেশের কি হবে? আর এখানে স্বার্থ কার। ভারতের সাথে রাজনৈতিক সমাধান না করে কেন উস্কানিমূলক বক্তব্য।  এগুলো কি বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। কোনো একটি স্বার্থমহল এখানেও কাজ করছে। যেমন করেছিলো ভারত ১৯৭১ সালে। তখন হয়ত আমরা বাঙ্গালীরা জানি নাই এখন সেটা ঠিকই অনুধাবন করতে পারছি।  ভারতের সাথে বাকযুদ্ধও সাধারণ মানুষ চায় না। বাংলাদেশের মানুষ চায় ভারতের আধিপত্য দূর করতে। সেটা কি যুদ্ধেই সমাধান। তা নয়। রাজনৈতিক ও কূটনীতিক সমাধান করতে হবে। ভারতের সাথে আমরা পারবো না ব্যাপারটা এমন নয়। যুদ্ধে দুইদেশের থেকে লাভবান হয় বেশি স্বার্থন্বসীরা। তবে আমাদের এখনই ভারতে সকল আধিপত্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সেটা শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বেও ঐক্য রাখতে হবে। প্রস্তুতিবিহীন কিছুই ভালো ফল বয়ে আনে না। দেশেও এখন রাজনৈতিক অবস্থা বেশ একটা ভালো না, তাহলে এই ভারতের বিরুদ্ধে থাকতে পারি কিন্তু যুদ্ধের কথা আসলে সেখানে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ নাই। বিদেশি কারো প্রেসক্রিপশনে আমরা উস্কে যাচ্ছি। আমাদের শান্ত থাকা খুবই অবশ্যম্ভাবী। 




Post a Comment

0 Comments