Header

Wellcome to my Trending News! Website. Thank you

We need a content writer for this website Details more.........

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের প্রভাব পড়বে বিজেপি দলের উপর, মোদীর পতনের কারন হতে পারে কি?

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি জোট।

 

ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন বাকযুদ্ধ ছড়িয়ে লং মার্চ পর্যন্ত চলে গেছে। 

কয়েকদিন আগেও বাংলাদেশের বড় রাজনীতিকরা ভারতের সাথে সুসম্পর্কর কথা বলেছেন। 

জামাতের আমীর শফিকুর রহমান কয়েকবারে বলেছেন

 আমরা ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চাই। আমাদের বন্ধু প্রতিবেশী ভারত আমাদের উপর কোনো প্রভুত্ব রাখবে না। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতের হাই কমিশনারের সাথে বৈঠক শেষে বলেছেন

 ভারতের সাথে সম্পর্কের বরফ গলা শুরু করেছে। 

এসব কথাকে ছাত্রজনতা ভালোভাবে নিতে পারছিলো না। তবে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে দেশের প্রতিনিধিত্বকারী দুটি বড় দলের বক্তব্য অবশ্যই সচ্ছ এবং গ্রহনযোগ্য হতে হবে আন্তর্জাতিক মহলে। সেটা চিন্তা করেই তারা এসব কথা বলেছেন। তাই তাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করা কোনো দায়িত্বশীল, রাজনৈতিক সচেতন মানুষের সাথে সামঞ্জস্য নয়। 

তবে ইসকন ইস্যুতে ভারতের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নিতে পারেনি। বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধ জনতা অতিউৎসাহী হয়ে একপ্রকার ভারত বিরোধী ক্যাম্পেইন বেশ আলোচনার জম্ম দিয়েছে। সোস্যাল মিডিয়ায় ভারতের পতাকা মাঠিতে প্রতিচ্ছবি করে পায়ের নিচে রাখার বিষয়টিও নজরে আসে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে, আগরতলায় বাংলাদেশী হাইকমিশনারের অফিস ঘেরাও করে ভারতের ইসকন সমর্থকেরা।  সেখানে পুলিশের বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এটা একটি স্বাধীন দেশের জন্য চরম অবমাননা।  যার দায় ভারত সরকার এড়াতে পারে না। ভারত সরকার কী তাদের দেশে রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ? তাদের সেই সক্ষমতা নাই নাকি নিরবে তারাও এটিকে সমর্থন করেছেন। সেটি নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর কী ভারত সরকার দিবে?  তারা একে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে, আবার বাংলাদেশের হাই কমিশনারের অফিসে হামলা এগুলো বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার বিষয়। তারা কি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে সব করবে। শেখ হাসিনার সাথে এমন কি জড়িয়ে আছে। কতদেশের কত সরকার পতনের পর আবার নতুন যে সরকার আসে তাদের সাথে বিদেশিরা সম্পর্ক করে। এটাই প্রত্যেকটি দেশের বৈধ পররাষ্ট্র নীতি।  তাহলে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি কী অবৈধ নাকি পরকীয়া সম্পর্কের গোপন নথি বের করে দেবার হুমকী দিয়ে ভারতকে ব্লাকমেইল করছে শেখ হাসিনা?  শেখ হাসিনার কাছে ভারত দায়বদ্ধ কি? শেখ হাসিনার কাছে এমন কি নথি আছে যার জন্য ভারত তাদের স্বার্বভৌমত্বের ঝুকি নিচ্ছে।  এটা কি ভারতের নাগরিকরা মেনে নিবে? এটাই হয়ত হতে পারে বিজেপি সরকারের পতনের কারন বিরোধীদল যদি এর সুযোগ নেয় তবে সেটাই হবে। ভারতের সাধারণ জনতাকে মোদী সরকার এটা বুঝাতে চাচ্ছে যে বাংলাদেশের সাথে সাম্প্রদায়িক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এটি জাতীয় বা রাজনৈতিক ইস্যু নয়। কিন্তু ভারতের জনগণের মনে এমন প্রশ্নও আছে বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া কেন মোদী প্রশাসন মেনে নিতে পারছে না। শেখ হাসিনার হত্যাকান্ড সারাবিশ্ব দেখেছে। তার বিচারে কেন ভারত কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। এ নিয়ে ভারতের জনসাধারণ মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছেও বটে। এখন বিরোধী দল এটিকে কতটুকু জনসাধারণে সারা ফেলতে পারে সেটিই দেখার বিষয়। আর বাংলাদেশকেও প্রমান করতে হবে ভারতের সাথে কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। তারা একহাসিনাকে রক্ষা করতে রাজনৈতিক কৌশলে বাংলাদেশের সাথে দূরত্ব তৈরি করে সেটিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সংবাদ প্রচারে নজর দিয়েছে।   কিন্তু যদি সংঘাতে যায় বাংলাদেশ আর সেটা ভারতকে আরো ঐক্যবদ্ধ করবে। তাই বাংলাদেশের ভারত বিরোধী ক্যাম্পেইন করতে হবে। যেমন - ভারতীয় পন্য বয়কট, ভারতীয় বানিজ্য হ্রাস করা, ইত্যাদি।  কোনো উস্কানিতে পা না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

Post a Comment

0 Comments